,

শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক শামীম আহমদের বিরুদ্ধে ॥ প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

গত ২৪ জানুয়ারী ২০২১ইং তারিখে হবিগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক বিজয়ের প্রতিধ্বনি পত্রিকার প্রথম পৃষ্টায় “নবীগঞ্জে কাউন্সিলর প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক সমিতির এক নেতার বিরুদ্ধে” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটির প্রতি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। কে বা কারা নির্বাচনে জনৈক প্রার্থীর প্রাপ্ত ৮১ ভোট উল্লেখ করে আমার বিরুদ্ধে নির্বাচনে টাকা নেওয়ার নামে যে সংবাদটি প্রচার করা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মান হানিকর বটে। ৮১ ভোট প্রাপ্ত যে কাউন্সিলরের নাম বলা হয়েছে তিনি হচ্ছেন কাউন্সলর প্রার্থী এটিএম রুবেল মিয়া। সংবাদ প্রকাশের পর গতকাল রবিবার বিকালে আমিসহ ওই ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত কাউন্সিল মোঃ আব্দুস সোবান, কাউন্সিলর সুন্দর আলী, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোজাহিদ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু দাশ রানা, ৮নং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ আলাউদ্দিন, নবীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ফখরুল আহসান চৌধুরী, ওসমানী রোড অভয়নগর এলাকার ইয়াং সোসাইটির সভাপতি রুবেল আহমদ চৌধুরী পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ইকবাল আহমেদ বেলাল, কাউন্সিলর প্রার্থী শাহেদুর রহমান শাহেদ, রাজনগরের বিশিষ্ট মুরব্বী মনসুর মিয়া মেনটাই, আওয়ামীলীগ নেতা আজিজুর রহমান, যুবলীগ নেতা তাহিদুর রহমান তাহিদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল কালাম, সিরাজ মিয়া, সিনিয়র শিক্ষক আবু সুফিয়ান, যুবদল নেতা ওয়াহিদুজ্জামান জুয়েলসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে এটিএম রুবেল ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং এজন্য শিক্ষক শামীম আহমদের পরিবারের সকলের নিকট দুঃখ প্রকাশ করেন। আমি একজন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। সরকারী চাকুরী করা এবং আমার পারিবারিক ঐতিহ্যসহ নানা কারনে নির্বাচনের মত একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে এ রকম অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকার প্রশ্নই উঠে না। এছাড়া আমি শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদকসহ বিভিন্ন সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থাকার কারনে নির্বাচনে কারো পক্ষ হয়ে কাজ করার কোন সুযোগও নেই। আমার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যই শিক্ষকতা পেশার সাথে জড়িত। এছাড়া আমি ও আমার স্ত্রী নির্বাচনের দিন গয়াহরি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচনী কাজে পোলিং অফিসার হিসাবে দায়িত্বরত ছিলাম। এ রকম অভিযোগ শুনে আমি হতভম্ব হয়ে পরি। কারন এধরনের ঘটনার সাথে আমি বা আমার পরিবারের কোন সদস্য কোনদিনও জড়িত ছিলেন না। এছাড়াও আমার ভাই নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামীগের সভাপতি মোজাহিদ আহমদ এই ওয়ার্ডের টানা ২ বারের কাউন্সিলর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাই প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং ভবিষ্যতে সংবাদের সত্যতা যাচাই করে সংবাদ পরিবেশনের জন্য স্ংাবাদিক ভাইদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী
শামীম আহমদ
সাধারন সম্পাদক
বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারী শিক্ষক সমিতি
নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ।


     এই বিভাগের আরো খবর